• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কীভাবে বাচ্চাদের সহানুভূতি শেখাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১, ০৩:২১ পিএম
কীভাবে বাচ্চাদের সহানুভূতি শেখাবেন

সহানুভূতিশীলতা মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম একটি। শিশুর মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়। সহানুভূতিশীল শিশু সমাজের সক্রিয় সদস্য হতে পারে। কীভাবে অন্যদের সাহায্য করতে হয়, তা শেখে। এমনকি  নিজের জীবনেও বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে শিশুরা সহানুভূতিশীল হতে পারে।

কীভাবে অন্যদের সহানুভূতি দেখাতে হয় এবং কীভাবে সেই সহানুভূতিকে রপ্ত করবে শিশুরা, তা ৪টি পদক্ষেপে শেখানো যায়। বিশ্বব্যাপী অলাভজনক অশোকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিল ড্রেটন বলেছেন, “শিশুদের সহানুভূতি শেখাতে দৈনন্দিন পরিস্থিতি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। সহানুভূতিভিত্তিক জীবনযাপন অনুশীলন করলে ভালো জীবন পাওয়া যেতে পারে। বাবা-মায়েরাও দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবেন। সন্তানরা তাদের প্রতিও যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল হবে।

সন্তানকে নিজের অনুভূতি নিয়ে ভাবতে দিন

বিল ড্রেটন পরামর্শ দেন, “আপনার সন্তানকে তার আবেগ সম্পর্কে সচেতনভাবে চিন্তা করতে দিন। তার চিন্তা ক্রিয়াকলাপের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে, তা-ও দেখতে দিন।” বিরক্ত না হয়ে সন্তানকে নিজের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হলে সে-ও অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে শিখবে।

সন্তানকে অন্য ব্যক্তির অনুভূতি বুঝতে দিন

সন্তানকে অনেকের সঙ্গে মিশতে দিন। অন্যের অনুভূতিতে আপনার সন্তানের আচরণ কেমন থাকে, তা পর্যবেক্ষণ করুন। অন্যের অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারলে সন্তানের মধ্যেও সহানুভূতি বোধ জাগবে।

অন্যরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া করছে, তা সন্তানকে দেখতে দিন

যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্যরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা সন্তানকে খেয়াল করতে বলুন। অন্যদের প্রতিক্রিয়া দেখে আপনার সন্তানও শিখবে কীভাবে সহানুভূতিশীল হতে হয়।

সন্তানকে সমাধান সম্পর্কে চিন্তা করতে বলুন

এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, কী করা যাবে তা ভাবতে দিন সন্তানকে। সমাধান সন্তানকেই বের করতে বলুন। যেমন সন্তানকে সে তার ভাইয়ের ব্যথা মোকাবেলা করতে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, সে সম্পর্কে ভাবতে দিন। সে কী করে তা দেখুন। এতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সন্তান দায়িত্বশীল ও সহানুভূতিশীল হবে।

বিল ড্রেটন বলছেন, এই ৪ পদক্ষেপের মাধ্যমে সন্তানদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া প্রকৃত উদ্দেশ্য নয়। বরং তারা অল্প বয়সেও অন্যের ভালো কাজে সহযোগিতা করতে পারে, তাই শেখানো যায়। সন্তানের প্রতিটি কাজের জন্য় প্রশংসা করুন। যেন সে কাজটিকে নিজের অভ্যাসে পরিণত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

শুধু শিশু নয়, এই বিষয়গুলো বড়দের ক্ষেত্রেও কাজ করবে। ১২ বছর বয়সী শিশু বাইরের অন্য কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে কিংবা কারও ব্যবহারে মন খারাপ করলে তাকে এই বিষয়গুলো দিয়েই স্বাভাবিক করুন। অন্যের প্রতি তাদের চিন্তাভাবনা কতটা যৌক্তিক, তা বুঝিয়ে বলুন, অন্যদের প্রতি আচরণ কতটা সঠিক, তা ভাবতে বলুন। সবশেষে বন্ধুদের নিয়ে নিজেকেই এই বিষয়ে সমাধান বের করতে বলুন।

 

সূত্র;এমএসএন

Link copied!