একটু একটু করে ঘর সাজিয়ে নিচ্ছেন। মনের মতো ঘরের রং দিয়েছেন, ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছেন। ঘরের ফার্নিচার বারবার বদলে নেওয়া হয় না। তাই টেকসই ফার্নিচারের দিকেই ঝুঁকেন অনেকে। টেকসই ফার্নিচার মানে কাঠের ফার্নিচার। কাঠ যত ভালো, ফার্নিচার তত বেশি টেকসই। কিন্তু কাঠেরও যে শত্রু রয়েছে। সাধের ফার্নিচার দফারফা করে দেয় ঘুণপোকা।
ঘুণপোকা বিশেষ এক ধরনের কাঠপোকা। যা কাঠের গায়ে ডিম পাড়ে। সেখান থেকেই কাঠের ভিতরে লার্ভা বড় হতে থাকে। এই পোকা কাঠের ভিতরে ভিতরে খেতে থাকে। একবার এই ঘুণপোকা ফার্নিচারে বাসা বাধলে ধীরে ধীরে তা সেই ফার্নিচার অকেজো হয়ে যায়।
শখের ফার্নিচারকে ঘুণপোকা থেকে রক্ষা করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যা সহজেই মুক্তি দিবে ঘুণপোকা থেকে_
- কেনার আগে ফার্নিচার ভালো করে দেখে কিনুন। বাজারে ভিন্ন ধরণের কাঠ পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু কাঠে ঘুণপোকা বাসা বাধে। আবার কিছু কাঠে ঘুণপোকা ধরে না। দামে একটু বেশি হলেও ভালো মানের কাঠের ফার্নিচার কিনুন।
- ভেজা কাঠে ঘুণপোকা ধরার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফার্নিচার বানানোর আগে কাঠ ভেজা বা কাঁচা কি না তা পরীক্ষা করে নিন। বাড়িতে পুরনো কোনও ফার্নিচার ভিজে গেলে, তা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। একটু খামখেয়ালিতে পুরো ফার্নিচারটি নষ্ট হতে পারে।
- কাঠের ফার্নিচারের উপর বার্নিশের প্রলেপ কিংবা রং দিন। এটি পোকার হাত থেকে ফার্নিচারকে রক্ষা করবে। বছরে একবার পুরোনো ফার্নিচারগুলো বার্নিশের প্রলেপ দিয়ে নিন। বহুদিন ভালো থাকবে।
- ফার্নিচারের গায়ে কোনও ছিদ্র বা ফাটল থাকলে ঘুণপোকা সেখানে ডিম পাড়ে। কেনার আগে তা ভালোভাবে দেখে নিন। পুরোনো ফার্নিচারের গায়ে ছিদ্র থাকলে তা দ্রুত মোম বা গালা দিয়ে বন্ধ করে নিন।
- রাসায়নিক ব্যবহার করে ঘুণপোকা থেকে রেহাই পেতে পারেন। বাজারে বোরন পাউডারের মতো কিছু রাসায়নিক রয়েছে। সেগুলো স্প্রে করে নিন।
- সাবধানতার পরেও যদি ফার্নিচারে ঘুণপোকা ধরেই বসে তবে সেই অংশটি কেটে ফেলুন। নতুন করে মেরামত করে নিন। বাকি অংশটুকু ভালো থাকবে।