বোঝাপড়া দাম্পত্য জীবনের মূল মন্ত্র। যা ব্যালেন্সে রাখতে পারলে সংসার সুখের হয়। বোঝাপড়ার হিসেবে জটিলতা থাকলে সংসারেও জটিলতা শুরু হয়ে যায়। দাম্পত্যে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলেও তা ঠিক করার সুযোগ থাকে। সেই দায়িত্বটাও নিজেদেরই নিতে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলে জীবনটা একঘেয়েমি মনে হয়। সুযোগ বুঝে এই একঘেয়েমিটা কাটিয়ে নেওয়া উচিত। এর জন্য় কিছু বিষয়ে আরও যত্নশীল হতে হবে দুজনকেই।
- সঙ্গীকে সময় দিন। সংসার-অফিসের কাজের ফাঁকেই নিজেকে এই সময় বের করে নিতে হয়। একদমই সময় পাচ্ছেন না? প্রতিদিন ঘুমের আগে হলেও সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। সময় দিন। এছাড়াও একসঙ্গে সিনেমা দেখা বা গান শুনতে পারেন। রাতে বাইরেও বেরিয়ে আসতে পারেন।
- সংসারের নানা চিন্তায় অনেকক্ষেত্রেই আর নিজেদের মনের কথা বলা হয়ে ওঠে না। সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। মনের কথা খুলে বলুন।
- সংসারের খরচ সামলে নিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সন্তানদের যত্নে, বড়দের প্রতি কর্তব্য পালনে, সামাজিকতা পালন করতে গিয়ে নিজেদের শখ হারিয়ে ফেলেন। এসবের মধ্যেও শখের খেয়াল রাখতে হবে। একে অপরকে এ বিষয়ে সাহায্য করুন।
- সঙ্গীকে ছোট উপহার হলেও দিন। তা প্রয়োজনীয় কিছু উপহার দিতে পারেন। এতে তার প্রতি আপনার খেয়ালের বিষয়টি ফুটে উঠবে।
- সংসারের দায়িত্ব ভাগ করে নিন। সংসারের খুটিনাটি বিষয়গুলো ভাগাভাগি করে নিন। দায়িত্ব ভাগ করে নিলে। একে সহযোগিতা বাড়ে। এক অন্যজনের উপর নির্ভরশীল হোন। একে অপরের প্রতি ভরসা বাড়ে। একে অপরকে উৎসাহ দিন।
- একে অপরের প্রশংসা করতে ভুলবেন না। এতে আপনার কাছে সঙ্গীর গুরুত্ব কতটুকু তা প্রকাশ পায়। মতামতের মিল না হলে রেগে না গিয়ে বুঝিয়ে বলুন। রাগারাগি হলে তা ধরে না রেখে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যান।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ