• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মাথার ত্বকে ব্রণ কেন হয়, কীভাবে সমাধান পাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৫:০৬ পিএম
মাথার ত্বকে ব্রণ কেন হয়, কীভাবে সমাধান পাবেন

মুখে ব্রণের সমস্যা সবারই কমবেশি রয়েছে। এই ব্রণ যে মাথার ত্বকেও হতে পারে, তা কি জানেন? চুল আঁচড়ানো বা ধোয়ার সময় এসব ব্রণে ব্যথা লাগে। এগুলো মাথার ত্বকে ছোট ছোট আকারে দেখা যায়। একটু আঁচড় লাগতেই এগুলো থেকে রক্তও বের হয়। একসময় বড় ঘাতে পরিণত হয়। তাই যথাসময়েই এই ব্রণের ট্রিটমেন্ট করতে হয়। না হলে, চুল পড়া বেড়ে যায় এবং মাথার ত্বকে ইনফেকশনও হতে পারে।

এসব ব্রণ মাথার ত্বকের হেয়ার লাইনে বা চুলের ভেতরে হয়। দেখতে সাধারণ ব্রণের মতোই। পুরো মাথা জুড়েও এটি হতে পারে। এটি কপাল, ঘাড় কিংবা কানের কাছেও হতে পারে।

মুখের ব্রণ থেকে মাথার ত্বকে হওয়া এই ব্রণ কিছুটা ভিন্ন। তাই এর ট্রিটমেন্টও ভিন্ন। এই ধরনের ব্রণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা থাকলে এর ট্রিটমেন্ট করাও সহজ হয়।

প্রথমে তাই মাথার ত্বকে ব্রণ হওয়া কারণগুলোর সন্ধান করুন

  • তৈলাক্ত চুলের কারণে মাথার ত্বকে ব্রণ হতে পারে। চুলে তেল ব্যবহার না করলে চুলের ক্ষতি হয়। কিন্তু এই তেলই মাথার ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। চুলে তেল দেওয়ার পর ঠিকমতো শ্যাম্পু করা না হলে ব্রণ হতে পারে। মাথায় তেল দিয়ে একটানা কয়েক দিন রেখে দিলেও ক্ষতি হয়। এটি মাথায় খুশকি এবং ব্রণের অন্যতম কারণ।
  • চুল পরিষ্কার রাখতে হয়। নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হয়। অনেকেই চুলে ধুলো-ময়লা থাকলেও শ্যাম্পু করেন না। সাধারণভাবে গোসল দিয়েই বেরিয়ে যান। এতে মাথার ত্বকে ময়লা বসে যায় এবং ব্রণের সৃষ্টি হয়।
  • চুলে বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেও মাথার ত্বকে ব্রণ হতে পারে। এতে হেয়ার ফলিকল ক্লগ হয়ে যায়। একই শ্যাম্পু একটানা ব্যবহার না করে সপ্তাহ খানেক পর পাল্টে নেওয়া উচিত। এতে মাথার ত্বকে মরা চামড়া দেখা যাবে না, ব্রণও হবে না।
  • সেবোরেইক ডারমাটাইটিস নামে চর্মরোগের কারণেও  মাথার ত্বকে ব্রণ হতে পারে। এই রোগ হলে মাথার ত্বক লাল ও খসখসে হয়ে যায়। ব্রণ দেখা দেয়। এই রোগে ব্রণ হলে সাদা বা হলুদ রঙের হয়।

মাথার ত্বকে ব্রণ সারাতে যা করবেন

  • মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বাছুন। মাথার ত্বকে পোরস ক্লগ হওয়া থেকে রক্ষা করতে এই উপায় সবচেয়ে কার্যকর। যে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার বেছে নেবেন খেয়াল রাখবেন এতে স্যালিসাইলিক এসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, কিটোকোনাজল রয়েছে কি না। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সাধারণত বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বকের সেবাম প্রোডাকশন কমাতে সাহায্য করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সাধারণ বহুমুখী আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং পোরস মিনিমাইজ করে। মাথার ত্বকের মাইক্রোব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। আর কিটোকোনাজল হচ্ছে ছত্রাকবিরোধী, যা খুশকি দূর করে।
  • চুলের যত্নে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। মাথার ত্বকের যত্নেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেইনটেইন করুন। ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, জিংক, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
  • মাথার ত্বকের ব্রণ সারাতে ঘরোয়া টিপসও রয়েছে। টমেটোর রস জুস মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। এতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা পিএইচ ব্যালেন্সি করে। একটি পাকা টমেটো ছোট ছোট টুকরা ব্লেন্ড করুন। এর থেকে রস ছেঁকে নিন। এই রস পুরো মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
  • অ্যাপেল সিডার ভিনেগারও মাথার ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকর। এতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টিস রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এটি মাথার ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক বা তৈলাক্ত হওয়া থেকে বাঁচায়। চুলের উজ্জ্বলতা ঠিক রাখে। ২/৩ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করার পর এই পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। ১ মিনিট পর সাধারন পানি দিয়ে পুরো চুল আরও একবার ধুয়ে নিন।
  • তেল মাথার ত্বকের ব্রণ হওয়া হওয়া অন্যতম কারণ। কিন্তু টি ট্রি অয়েল দিয়ে এই ব্রণ সারাতেও পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিস, যা মাথার ত্বকরে পোরসগুলো আনক্লগ করে। চুলপড়া কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিও বাড়ে। আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েলের সঙ্গে ২/৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। দ্রুতই ব্রণ সেরে উঠবে।
Link copied!