মশাবাহিত বিভিন্ন ভয়াবহ রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মশক দিবস। মশাবাহিত জটিল রোগ থেকে সাবধান হওয়া ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে এই দিবসে নানা কর্মসূচি পালিত হয় বিশ্ব জুড়ে।
এসব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কয়েকটি উপায়ে মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- সকালে এবং সন্ধ্যার আগে এডিস কামড়ায়। এই দুই সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
- মশা-বাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রথমত মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধন করতে হবে।
- মশার ডিম পাড়ার স্থানগুলোতে ধ্বংস করতে হবে। যাতে মশা ডিম পাড়তে না পারে।
- ড্রেন, পুকুর বা অন্য জলাশয়ের নোংরা পানি পরিষ্কার করতে হবে।
- বাসাবাড়ির ছাদে ও আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোসা, কোমল পানীয়র ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিতে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। প্রতিদিন খেয়াল রাখতে হবে।
- পরিচ্ছন্নতার দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা সরকার বা সিটি করপোরেশনের একার কাজ নয়। এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবেও সচেতন হতে হবে।
- প্রতিদিন দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
- ঘরে স্প্রে, মশার কয়েল ও দরজা–জানালায় নেট ব্যবহার করুন।
- ছোট শিশুদের যথাসম্ভব ফুল হাতা জামা বা প্যান্ট পরাতে হবে।
কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও মশা থেকে রক্ষা দিবে_
- মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে রাখুন। মশা কামড়াবে না।
- কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না মশা। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখুন। মশা পালিয়ে যাবে।
- লেবু অর্ধেক কেটে এর মধ্যে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে ঘরে রেখে দিন। জানালায় রাখতে পারেন। মশা ঘরে ঢুকবে না।
- ব্যবহৃত চা পাতা রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালিয়ে নিন। চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা পালিয়ে যাবে।