• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিবর্তনের ইতিহাসের দুর্লভ একটি রত্ন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ১২:২১ পিএম
বিবর্তনের ইতিহাসের দুর্লভ একটি রত্ন

বিবর্তনের ইতিহাসের দুর্লভ একটি রত্ন উঠে এল অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে। হদিশ মিলল এমন একটি প্রাণীর যার পায়ের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। সঠিক অঙ্কে— ১ হাজার ৩০৬টি পা! পৃথিবীতে এর আগে এতগুলি পায়ের কোনও প্রাণীর দেখা মেলেনি। তাই সম্প্রতি আবিষ্কৃত প্রাণীটিকে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘বিবর্তনের ইতিহাসের দুর্লভ একটি রত্ন।’

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে। যেখানে এদের সন্ধান মিলেছে সেই এলাকায় রয়েছে প্রচুর সোনার খনি। সোনা তুলতে গিয়ে বিরল প্রাণীর হদিশ মিলল অস্ট্রেলিয়ায়

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাণীটি আদতে বহু পদের কেন্নো। এরা যে পরিবারের সদস্য তারা পৃথিবীতে এসেছিল ৪০ কোটি বছর আগে। সুতোর মতো দেখতে ধূসর রঙের কেন্নো। দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন ইঞ্চি। চওড়ায় এক ইঞ্চির চারশো ভাগের এক ভাগ। তিনকোণা মাথা। মুখটা বকের ঠোঁটের মতো। শুঁড়গুলি খুব বড়। কোনও চোখ নেই। শুঁড়গুলি দিয়েই তারা এলাকা চিনত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে কেন্নোর আবিষ্কার হয়েছিল তার পায়ের সংখ্যাই প্রাণীজগতে এত দিন ছিল সবচেয়ে বেশি। ৭৫০টি। কেন্নোর সেই প্রজাতির নাম— ‘ইলাক্‌মে প্লেনিপেস’।

গবেষকরা জানিয়েছেন সম্প্রতি আবিষ্কৃত প্রাণীরা যে প্রজাতির কেন্নো জীববিজ্ঞানের পরিভাষায় তাদের নাম— ‘ইউমিলিপেস পারসেফোরি’। এরা মাটির ২০০ ফুট নীচেও দিব্য থাকতে পারত। এই কেন্নোর স্ত্রীদের পায়ের সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে বেশি।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, মাটির মধ্যে খুব সামান্য জায়গা বা খুব সরু ফাটল দিয়ে গলে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এতগুলি পা দরকার ছিল এই প্রাণীদের। পাগুলির উপর চাপ দিয়েই তারা প্রয়োজনীয় বল পেত।

সূত্র: আনন্দবাজার 

Link copied!