ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়াল করা হয়। সাধারণ ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়ালসহ নানা ধরনের ফেসিয়াল রয়েছে। এটি ত্বকের ময়লা দূর করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে ত্বক কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
ফেসিয়াল করারও সঠিক পদ্ধতি রয়েছে, যা মেনে না চললে ত্বকের উপকারের পরিবর্তে অপকারই হয়। ফেসিয়াল করার আগে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তা জানাব এই আয়োজনে।
- ফেসিয়ালের মধ্যে ব্যবধান রাখুন। বেসিক ও অ্যাডভান্সড, এই দুই ধরনের ফেসিয়াল হয়। অ্যাডভান্সড ফেসিয়াল করতে অন্তত ১৫ দিনের ব্যবধান রাখুন। অন্যদিকে বেসিক ফেসিয়ালে অন্তত এক সপ্তাহের ব্যবধান রাখুন।
- ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল করুন। একেকজনের ত্বকের ধরন একেক রকমের হয়। কারও শুষ্ক, কারও তৈলাক্ত, কারও আবার অত্যন্ত সেনসিটিভ। তাই ত্বকের ধরন বুঝে ফেসিয়াল করতে হয়। অন্যথায় ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা আলার্জি, ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
- ফেসিয়ালের আগে ওয়াক্সিং না করাই ভালো। ফেসিয়ালের সময় ত্বকে ম্যাসাজ করা হয়। এতে ত্বক কিছুটা সেনসিটিভ হয়ে যায়। তাই ফেসিয়ালের আগে যদি ওয়াক্সিং বা শেভিং করা হয় তাহলে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের ত্বকে দাগ অথবা লালচে ভাবের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
- ফেসিয়াল করার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ক্লিনজার অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করবেন। যেন কোনো মেকআপ, ফাউন্ডেশন, পাউডার অথবা ক্রিম লেগে না থাকে। কারণ, মেকআপ অবস্থায় ফেসিয়াল করলে ত্বকের ক্ষতি হয়।
- ফেসিয়ালের আগে আইল্যাশ এক্সটেনশন করবেন না। আইল্যাশ এক্সটেনশনে একধরনের আঠা ব্যবহার হয়, যা তুলে নেওয়ার পরও কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ঘষা, লোশন লাগানো বা স্টিম ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই এটি খেয়াল রাখা জরুরি।