নাকের ভেতর ধুলা গেলে, বিশেষ গন্ধ হলে কিংবা ঠান্ডা লাগলে সাধারণভাবেই হাঁচি হতে পারে। কিন্তু আলোতে গেলে কিংবা সূর্যের দিকে তাকালেও অনেকেরই হাঁচি আসে। কখনো খেয়াল করেছেন? আলোতে গেলে কেন আপনার হাঁচি হয়? অধিকাংশ মানুষেরই এমনটা হয়। আলো দেখে এভাবে হাঁচি দেওয়াকে ফোটিক স্নিজ রিফ্লেক্স বলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী গবেষণাও করেছেন। কেন আলোতে গেলেই হাঁচি আসে? বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল মনে করতেন, নাকের ওপর সূর্যের তাপ পড়লেই হাঁচি হয়। অন্যদিকে ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন মনে করেন, সূর্যের আলোতে গেলে চোখে পানি হয়, তা নাকে গিয়ে হাঁচির উদ্রেক করে। কিন্তু ফিজিওলজি বা শারীরবিদ্যার তথ্য অনুযায়ী এমনটা হওয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য অন্যভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, হাঁচির স্টিমুলেশন বহন করে ট্রাইজেমিনাল নার্ভ সিস্টেম। মস্তিষ্কের ভেতর তা অপটিক বা চোখের নার্ভের কাছাকাছি থাকে। তীব্র আলোর অনুভূতি অপটিক নার্ভ দিয়ে বাহিত হওয়ার সময় তা ট্রাইজেমিনাল নার্ভকেও স্টিমুলেট করে। এই কারণেই হাঁচি হয়।
কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কিছু দ্বিমত রয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি কোনো অসুস্থতা নয় বলে তেমন গবেষণাও করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৮ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষই এই সমস্য়ায় ভোগে। ১৯৬০ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এই বৈশিষ্ট্য আমাদের জিন বা বংশগতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি অটোজোমাল প্রকট বৈশিষ্ট্য। পরিবারের একজনের থাকলে অন্যদেরও এমনটা হতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।