• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্গ্যানিক উপায়ে বাড়িতে সবজি বাগান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২, ০৩:০১ পিএম
অর্গ্যানিক উপায়ে বাড়িতে সবজি বাগান

প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রধান অংশ থাকে সবজি। অনেকেই এখন বাড়ির ছাদ, বারান্দায় সবজির বাগান করেন। অর্গ্যানিক উপায়ে উৎপাদিত শাক-সবজি  খেতে তারা বাড়ির আঙ্গিনা বা ছাদে ফলনের ব্যবস্থা করেন। বিশেষ করে করোনার লকডাউনে ঘরে গাছ লাগানোর প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে।

বাড়িতে সবজির বাগান করতে চারা জোগান দিতে এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ানো ঝামেলা। বরং ঘরের ফেলে দেওয়া সবজির অংশ দিয়েই বাগান করতে পারেন। বাড়িতে অর্গ্যানিক পদ্ধতিতে ৫টি সবজি উৎপাদন যেভাবে করতে পারেন তা জানাব এই আয়োজনে_

মরিচ

মরিচ গাছ বহুবর্ষজীবী। ট্রপিক্যাল দেশগুলোতেই মূলত এর উৎপত্তি হয়। বাড়িতে মরিচ গাছ লাগাতে পারেন। একটি টবে মরিচের বীজ বা গ্রীষ্মের শেষে মরিচের গাছ নিয়ে মাটিতে পুঁতে দিন। সহজেই ফলন হবে। ৮ ইঞ্চি লম্বা কন্টেইনার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০ ঘণ্টা সূর্যালোকে গাছটি রাখতে হবে। গাছে পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন তা শুকিয়ে যায়। মরিচের রেণুগুলো একে অপরের ওপর ছিটিয়ে পরাগায়নে সাহায্য করুন।

আলু

আলু সহজেই বাড়িতে উৎপাদন করা যায়। তাও আবার খুব সহজেই। একটি আস্ত আলু মাটিতে পুঁতে দিন এবং পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন। কিছুদিন এভাবেই রেখে নিন। নিজে নিজেই আলুর চারা বেড়ে উঠবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এর শিকড় মজবুত হবে এবং চারা দেখা দিবে।

টমেটো

বাড়িতেও টমেটো ফলানো সম্ভব। টমেটো উৎপাদনে প্রচুর সূর্য রশ্মির প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন অন্তত ১৪ থেকে ২০ ঘণ্টার সূর্যালোক জরুরি হয় টমেটো ফলনে। টমেটোরও স্ব-পরাগায়ন ঘটে। পরাগায়নে সাহায্য করার জন্য আপনি গাছটিকে একটু ঝাকিয়ে দিতে পারেন। যাতে একটি  ফুলের রেণু অপর ফুলে সঞ্চারিত হয়ে যায়। এরপরই টমেটোর বীজ দ্রুত অঙ্কুরিত হতে দেখবেন।

লেটুস

বাড়িতেই খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে লেটুস পাতা। এর শিকড়ও অগভীর। তাই উৎপাদনের জন্য গভীর বা বড় টবের প্রয়োজন হয় না। ২ থেকে ৪ ইঞ্চি গভীরে ভেজানো মাটি ভরে নিন। লেটুস বীজকে আলতো হাতে মাটির মধ্যে পুঁতে দিন। মাটি ভেজা রাখবেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অঙ্কুরিত হয়ে যাবে। তোলার আগে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে দিন। লেটুসের বাইরে পাতাগুলো ছাড়িয়ে নিন। এর মধ্য অংশের পাতা বাড়তে দিন। সেগুলো বড় হলে পরে ছাড়িয়ে নিন।

পেঁয়াজকলি

পেঁয়াজকলিও বাড়িতে ফলানো যাবে। এতে অধিক সূর্যরশ্মির প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া এই গাছটির যত্ন নেওয়াও সহজ। পেঁয়াজকলির ওপরের অংশ ব্যবহারের পর শিকড়টি মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন।

Link copied!