পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় সারা দেশ। এর মধ্যে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, গত ১২ বছরে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেটি প্রমাণিত। এসব পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলার কোনো অবকাশ নেই বলেও জানিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে ‘চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন বিষয়ে পিএসসির বক্তব্য’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ জুলাই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে সন্ধ্যা ৬টা এবং ৭ টায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এবং অন্যান্য নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, সে বিষয়ে পিএসসির দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রচারিত প্রতিবেদনে গত এক যুগে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাস্তবতা হলো, গত ১২ বছরে পিএসসিতে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো মহল থেকে কখনোই কোনো ধরনের অভিযোগ বা অনুযোগ ছিল না, বিধায় এটি প্রমাণিত যে, ওই সব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময়ে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপনের অবকাশ নেই। প্রতিবেদনে গত ১২ বছরে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত এসব পরীক্ষার বিষয়ে বিরূপ প্রচার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিএসসির ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিএসসির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজসহ জনমনে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। বিপিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে যথাসময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রতারণা বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রমাণ হয়, তাহলে কমিশন সংশ্লিষ্টের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।