ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের গ্রাম সোহাগপুর। দেশটি ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ গ্রামের কোনো বাসিন্দার ভাগ্যে সরকারি চাকরি জোটেনি।
৭৫ বছর পর সেই খরা কাটালেন রাকেশ কুমার নামের ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। সম্প্রতি একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
সোহাগপুরের মতো বিহারের আরেকটি গ্রামে বারকুরোয়াতে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন রাকেশ। তার এই সরকারি চাকরি পাওয়ার আনন্দ উদযাপন করছে গ্রামবাসী। আয়-রোজগারের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার কারণে ভারতে সরকারি চাকরির চাহিদা অত্যধিক।
স্থানীয় নেতা দেবেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, সোহাগপুরের অনেকেই ভাল বেতনের চাকরি করছে। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বড় শহরে যাতায়াত করেন। তবে স্বাধীনতার পর থেকে অনেক চেষ্টার পরেও কেউ সরকারি চাকরি পেতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, রাকেশ কুমারের সাফল্য গ্রামবাসীর দুর্ভাগ্য কাটিয়ে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম তার সাফল্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে বলেই আশা সবার।
মুদিদোকানদারের ছেলে রাকেশ রোজ ২০ মাইল সাইকেল চালিয়ে পার্শ্ববর্তী শহর মুজাফফরপুরের হাই স্কুলে পড়তে যেতেন। হাতখরচের জন্য অবসর সময়ে ছোট শিক্ষার্থীদেরও পড়াতেন তিনি।
২০১৬ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। তবে বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যান তিনি।
রাকেশ বলেন, “বাবা চেয়েছিলেন আমি একজন ডাক্তার বা শিক্ষক হই। আমি তার স্বপ্ন পূরণ করেছি।”
তার আশা, চাকরি তার জন্য সাফল্যের দরজা খুলে দেবে। আগামীতে সরকারি মাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্যও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।