দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ ও অবরোধ নিয়ন্ত্রণে ১৯৮৮ সালের পর প্রথমবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গার্ডিয়ান জানায়, সীমিত সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভৌগোলিক অঞ্চলে বিশেষ আইন প্রযোজ্য হবে।
সোমবার আলবার্টায় মার্কিন সীমান্তের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ভর্তি একটি ট্রাক আটকের কয়েক ঘণ্টা পরই এই সিদ্ধান্ত নেয় কানাডা সরকার। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ট্রুডো জানান, করোনাবিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভরতরা ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করার কারণে সারা বিশ্বে কানাডার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কানাডা সরকার।
জানুয়ারিতে ট্রাকচালকদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করার পর ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারী ট্রাকচালকরা রাজধানীর অটোয়ার প্রধান সড়কগুলো অচল করে দিনরাত হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের সড়কও অবরোধ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সপরিবার রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
তাই জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে কঠোর হস্তে বিক্ষোভ দমন করবে সরকার। বিক্ষোভকারীদের সাহায্যকারীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে সাবধান করা হয়েছে।
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে সরকারের কড়াকড়ির জেরে ১৮ দিন ধরে বিক্ষোভে স্থবির কানাডার একাংশ। এমন অবস্থায় আগামী ৩০ দিনের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন ট্রুডো।
এক সপ্তাহ আগে রাজধানী অটোয়াতেও জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তবে তাতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।