২০১৯ সালে সিরিয়ায় বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দোষ দেখছেন না দেশটির তদন্তকারীরা। মার্কিন সামরিক বাহিনীর তদন্তে দেখা গেছে, সিরিয়ায় কোনো যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন করেনি সৈন্যরা। ইচ্ছাকৃতভাবেও কোনো হামলা চালানো হয়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় বহু মানুষ নিহতের তথ্য প্রকাশের পর এই তদন্ত শুরু করা হয়। সেই প্রতিবেদনে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থান মনে করে বেসামরিকদের ওপর হামলার জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে প্রতিবেদনের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
২০১৪ সাল থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক সামরিক জোট। এতে অন্তত ১ হাজার ৪১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এয়ারওয়ারসের দাবি, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৮ হাজার ১৯২ থেকে ১৩ হাজার ২৪৪।
২০১৯ সালের ১৮ মার্চ তারিখে পূর্ব সিরিয়ার শহর বাঘুজে এই বিমান হামলাটি পরিচালিত হয়। সে সময় মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) আইএসের শেষ ঘাঁটি দখল করতে বিমান হামলা করে। পেন্টাগনের তদন্ত দলের প্রধান মার্কিন জেনারেল মাইকেল গ্যারেট দাবি করেছেন এ হামলাটি বেসামরিক এলাকাতেই করা হয়েছে।