• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কায় সহিংসতায় জড়িত এমপিদের গ্রেপ্তার শুরু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতায় জড়িত এমপিদের গ্রেপ্তার শুরু
ফাইল ছবি

শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের দুইজন এমপিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সহিংসতায় জড়িত এমপিদের গ্রেপ্তার করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশের পর এই অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সহিংসতায় জডিত এমপিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে সিআইডি।

শুরুতে ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপির এমপি সনাথ নিশানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এসএলপিপির আরেক এমপি মিলান জয়তিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজপি) নির্দেশ দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে তদন্ত করে সহিংসতাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আইজপি। এরপরই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়।

সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছেন, এমপি জনস্টন ফার্নান্দো, সনাথ নিশানা, সঞ্জীভা এদিরিমান্নে ও মিলান জয়তিল। পাশাপাশি তালিকায় পশ্চিম প্রদেশের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র ডিআইজি দেশবন্ধু টেনাকুন ও ড্যান প্রিয়াসাদ রয়েছেন।

গত ৯ মে ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপির নেতৃত্বে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনকারীরা তখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিসের কাছে গল ফেসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল।

পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দিনব্যাপী সংঘর্ষে একজন এমপি, পুলিশের সদস্য ও আন্দোলনকারীসহ ৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

এদিন দুপুরে বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। পরে ১২ মে নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে নিয়োগ দেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরমধ্য দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন রনিল।

দক্ষিণ এশিয়ার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা। এই দ্বীপরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্যও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রারও ঘাটতি রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার কেন্দ্রবিন্দু হলো আমদানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীলতা।

কোভিড মহামারিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের গির্জা বোমা হামলায় পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেছেন।

Link copied!