কাবুলে জোড়া বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব, জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১, ০৯:৩৯ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব, জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-খোরাসানের আত্মঘাতী হামলার প্রতিবাদে এবার তাদের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের গোপন আস্তানা।

বিবিসি জানান, পূর্ব আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনারা এই অভিযান চালায়। এই গোষ্ঠীর এক সদস্যকে হত্যা করেছে। জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এ হামলা চালনো হয়। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের পর আফগানিস্তানে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলার খবর।

মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, “আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশের ওই অভিযানটি চালানো হয়েছে। অপারেশনটি নানগাহর প্রদেশের আইএস-কে গ্রুপের একজন ‘পরিকল্পনাকারী’কে লক্ষ্য করে। প্রাথমিক ইঙ্গিত হচ্ছে আমরা লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করেছি। হামলায় জঙ্গিদের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়নি।”

এর আগে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হামলার ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলে যাব না। আমরা ওদের খুঁজে বের করব এবং হিসাব বুঝে নেব। চরম মূল্য দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করব।” প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারির পরপরই এই হামলা চালায় মার্কিন সেনা সদস্যরা।

গত বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো।

বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। অনেককে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাইডেন তার ভাষণে আত্মঘাতী হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তার প্রেস সচিব জেন সাকি জানান, নিহতদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এদিকে নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক-এর এক প্রতিবেদনে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)।

১৫ আগস্ট তালেবানরা ক্ষমতা দখল পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিদেশি বিমানে দেশ ছাড়ার চেষ্টায় আছেন। প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে কাবুল বিমানবন্দরে। এর আগে গোলাগুলি ও পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলো কাবুলের বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!