অস্থিরতার মাঝেই মিয়ানমারে প্রথমবার সফর করলেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের নতুন দূত নোলিন হেইজার। দেশটির সামরিক সরকারের প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ফাঁসির কার্যক্রম বন্ধ করতেও আহ্বান জানান জাতিসংঘের দূত। দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গেও সরাসরি আলোচনা করেছেন হেইজার। তবে জান্তা সরকারের কড়াকড়ির কারণে কারাবন্দি বেসামরিক নেতা অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের পর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন হাইজার। গত বছর নিয়োগপ্রাপ্তির পর দেশটিতে তার প্রথম সফর এটি।
৩০ বছরের বেশি সময়ের পর গত মাসের শেষ দিকে চার রাজনৈতিক কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। নিহতদের মধ্যে অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির সাবেক বিধায়ক ফিও জেয়া থাও ছিলেন।
জাতিসংঘের দূত নোলিন হেইজার বুধবার দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাকে ভবিষ্যতের সব মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে ও সু চির সাবেক উপদেষ্টা শন টার্নেলসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তিরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি ও তার বেসামরিক সরকারের সদস্যদের আটক করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে অং সান সু চিকে একাধিক অভিযোগে বিচার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেনাশাসনবিরোধী হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে। সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নে প্রায় ২ হাজার ২১৫ জন নিহত হয়েছে।