• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাস্কহীন মোদির আলিঙ্গনে অস্বস্তিতে জাতিসংঘ মহাসচিব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
মাস্কহীন মোদির আলিঙ্গনে অস্বস্তিতে জাতিসংঘ মহাসচিব

জলবায়ু সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাস্ক না পরেই আলিঙ্গন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে, যা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানায়, মাস্কহীন মোদির আলিঙ্গনে বেশ ‘অস্বস্তি’তে পড়েন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।

এর আগেও রোমে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিয়ে বিশ্বনেতাদের আলিঙ্গন করেন মোদি। শনিবার ভ্যাটিকানেও পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে  আলিঙ্গন করেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকে  আলিঙ্গন করে সমালোচনায় পড়েন মোদি।

জি-২০ মঞ্চে উঠে মোদি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরস্পর মুষ্টি স্পর্শ করে সম্ভাষণ করেন। এরপর জাতিসংঘের মহাসচিব  আন্তোনিয়ো গুতেরেসের দিকে এগিয়ে গিলে আলিঙ্গন করতে যান মোদি। কিন্তু সেই আলিঙ্গনে সাড়া দেননি গুতেরেস। নিজেকে  খানিকটা সরিয়ে নেওয়ার প্রয়াসেই ছিলেন। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, এই আলিঙ্গনে অস্বস্তিবোধ করছিলেন।

আলিঙ্গনের মুহূর্তে মোদি মাস্ক পরা না থাকায় বিষয়টি দৃষ্টিকটুও ছিল বলে বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠে আসে। 

মোদির আন্তরিকতার চিত্র তুলে ধরে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের শিরোনামে বলা হয়, ‘উষ্ণতা বাড়ছে! অস্বস্তিকর মুহূর্তে তৈরি হলো, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি নিবিড়ভাবে গুতেরেসকে আলিঙ্গন করতে গেলেন।’

সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তখন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করলেন না কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার মুখে মাস্ক কোথায়!’ 

এমনকি জি-২০ সম্মেলন হোক বা জলবায়ু সম্মেলনে কোথাও মোদির মুখে মাস্ক চোখে পড়েনি বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সমালোচকরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সুযোগ পেলেই মাস্ক পরার পরামর্শ দেন, বিদেশে তার মাস্ক পরতে অনীহা কেন!’

সমালোচনকরা আরও বলেন, সাধারণ জনগণ রাষ্ট্রনেতাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে মাস্কহীন মোদিকে দেখে কোন বার্তা পেলেন দেশবাসী!

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রথমেই নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার শুভানুধ্যায়ীরা বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর ‘আলিঙ্গন-কূটনীতি’।

Link copied!