মারাত্মক অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। বিষয়টিকে আঞ্চলিকভাবে বিরল প্রগতিশীল পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের জন্য আন্দোলন করছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ২০১৮ সালে এই সাজা দেওয়া স্থগিত করা হয়। এর তিন বছর পর এই সাজা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানাল মালয়েশিয়া সরকার।
শুক্রবার (১০ জুন) মালয়েশিয়ার আইনমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি তুয়ানকু জাফর এক বিবৃতিতে বলেন, মারাত্মক অপরাধের জন্য বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হচ্ছে। এই সাজার বদলে আদালতের নির্দেশনায় ‘বিকল্প সাজা’র ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সিদ্ধান্তে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে, এতে দেশের নেতৃত্বের স্বচ্ছতা প্রতিফলিত হয়েছে। সব পক্ষের অধিকার সুরক্ষিত ও নিশ্চিত করার উপর সরকারের পদক্ষেপ প্রতিফলিত হয়েছে।
মালয়েশিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এজন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা হবে। মাদক সংক্রান্তসহ যেসব অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে সেগুলোর জন্য বিকল্প সাজা কী হতে পারে তা নির্ধারণে আরও গবেষণা করা হবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়া ও এই অঞ্চলের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’। এটি দেশটির প্রগতিশীল সিদ্ধান্তের উদাহরণ।
২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে মালয়েশিয়া সরকার। তবে এই দণ্ড কার্যকরের আইনগুলো থেকে গেছে। এছাড়া আদালতে দোষী সাব্যস্ত মাদক পাচারকারীদের বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধানও থেকে গেছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, খুন, ধর্ষণের সাজা হিসেবে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক।