পাঁচ বছর বয়সী শিশু রায়ানের পিতা কুয়া মেরামতের কাজ করেন। মরোক্কর উত্তরাঞ্চলের শহর তামরোতে গত ৩১ জানুয়ারি কাজের সময় বাবার সঙ্গেই ছিল রায়ান।
বাবা কাজে মন দিতেই পা ফসকে কুয়ার ভেতর পড়ে যায় শিশুটি। এরপর পাঁচ দিন ধরে সেখানেই আটকা আছে সে। রায়ানকে উদ্ধার চলছে ব্যাপক তৎপরতা।
রায়ানের পিতা বলেন, “আমি তার ওপর থেকে একটু চোখ সরিয়ে নিতেই সে কুয়ার ভেতরে পড়ে যায়। এর পর থেকে আমি এক মুহূর্তও ঘুমাতে পারিনি।”
সংবাদমাধ্যমের সামনে কাঁদতে কাঁদতে রায়ানের মা বলেন, “ঘটনার পর পুরো পরিবার মিলে তাকে খুঁজতে থাকি। একসময় আমরা বুঝতে পারি সে আসলে কুয়ার ভেতরে পড়ে গেছে।”
বৃহস্পতিবার কুয়ার ভেতরে ক্যামেরা ফেলা দেখা গেছে শিশুটির এখনও জ্ঞান আছে। তবে মাথায় সামান্য আঘাতের পেয়েছে সে। তবে ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, ১০৪ ফুট গভীর কুয়া থেকে শিশু রায়ানকে উদ্ধারের চেষ্টা সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। মরক্কোও প্রতিবেশি আলজেরিয়ার মানুষও তার জন্য প্রার্থনা করছে। উদ্ধারকাজ দেখতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কুয়াটি বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় এর কাছেই সুরঙ্গ খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে মাটিতে পাথর ও বালির পরিমাণ বেশি থাকায় জায়গাটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
কুয়াটির মুখ খুব সরু (৯.৮ ইঞ্চি) হওয়ায় উপর থেকে নামতে পারছে না কেউ। তবে শিশুটির যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য উদ্ধার-কর্মীরা কুয়ার ভেতরে অক্সিজেনের, খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, শিশুটির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা।