সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে লিবিয়ার নির্বাচন কমিশন। ২৪ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ৯৮ জন নিবন্ধিত প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মধ্যে লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফও রয়েছেন।
আল-জাজিরা জানায়, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার যোগ্যতা হারিয়েছেন সাইফ আল-ইসলাম। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১৫ সালে ত্রিপোলির আদালত সাইফ আল–ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। সেকারণেই প্রার্থী হতে পারবেন না তিনি। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান ও সাবেক সাংসদ নৌরি আবুসাহমাইনের নামও রয়েছে।
২০১১ সালে অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানে আটক ও নিহত হন লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে পড়াশোনা করেছেন তার ছোট ছেলে সাইফ আল-ইসলাম। একসময় বিভিন্ন মহলে সাইফের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০১১ সালে পিতার মৃত্যুর পর তার পক্ষ নেয়ায় বদলে যায় পরিস্থিতি।
২০১১ সালে সামরিক বাহিনীর হাতে আটকের ছয় বছর পর মুক্তি পান সাইফ আল-ইসলাম। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গেলে গ্রেপ্তার কিংবা যেকোন বিপদের পড়তে পারেন সাইফ। তবে ঝুঁকি সত্ত্বেও পিতার উত্তরাধিকার হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি।