‘আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ’ বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ধরণের আনুষ্ঠানিক আলচনায় বসবে না ভারত। ইসলামাবাদ ‘আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ’ বন্ধ করলে তবেই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল। শাহবাজের প্রতি দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায়ের বিষয়ে বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পরে মোদির বার্তার পাল্টা জবাবে শাহাবাজ একই প্রতুশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ চাই। তবেই সংলাপ সম্ভব। অপর পক্ষের সরকার কি বলে তাতে কিছু যায় আসে না।”
বাগচি আরো বলেন, “দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শাহবাজ শরিফের মধ্যে সাম্প্রতিক চিঠি আদান-প্রদান ছিল রুটিন কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ। শান্তির আহ্বান ও সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে বলা আমাদের বৈধ দাবি। আমাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি।”
সূত্রের বরাতে উইওন নিউজ বলছে, আগামী জুলাইয়ে উজবেকিস্তানের তাসখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি ও শাহবাজ শরিফ অংশ নেওয়ার কথা চলছে। ইতোমধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায় থেকে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে দুই পক্ষের কেউ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।
সূত্র বলছে, জুলাই মাসের ১৭ তারিখ এসসিও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে ঘটা করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে মোদি পাকিস্তানে সফরের কথা রয়েছে।
তবে দুই দেশের আন্তঃসীমান্তে সন্ত্রাসবাদ বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে না পারলে কোনো ধরণের আনুষ্ঠানিক বসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদ শান্তি ও কূটনীতির পরিবেশ নিশ্চিত না করলে কোনো আলোচনা হবে না।