গত ৩১ জানুয়ারি মরক্কোর উত্তরাঞ্চলের শহর তামরোতে একটি কুয়ার গর্তে আটকা পড়ে শিশু রায়ান। বাবা কুয়া মেরামতের কাজ করার সময় অন্যদিকে নজর দিতেই ১০৪ ফুট গভীরে পড়ে যায় সে। তবে এরপরও তাঁর সংজ্ঞা ছিল।
বৃহস্পতিবার কুয়ার ভেতরে ক্যামেরা ফেলা দেখা যায় শিশুটির তখনও জ্ঞান আছে। তবে মাথায় সামান্য আঘাতের পেয়েছে সে। তবে ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হয়।
কুয়াটি বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় এর কাছেই সুরঙ্গ খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। তবে মাটিতে পাথর ও বালির পরিমাণ বেশি থাকায় জায়গাটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা ছিল।
কুয়াটির মুখ খুব সরু (৯.৮ ইঞ্চি) হওয়ায় উপর থেকে নামতে পারছিলেন না কেউ। তবে শিশুটির যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য উদ্ধার-কর্মীরা কুয়ার ভেতরে অক্সিজেনের, খাবার ও পানি সরবরাহ করছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
পাঁচ দিন ধরে কুয়ার ভেতর আটকে থাকার পর স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির নিথর দেহ বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারাদের তথ্যের বরাতে এই খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
কুয়া থেকে শিশু রায়ানকে উদ্ধারের চেষ্টা সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। মরক্কোও প্রতিবেশি আলজেরিয়ার মানুষও তার জন্য প্রার্থনা করেছে। উদ্ধারকাজ দেখতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ।
নিষ্পাপ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকাহত মরক্কোবাসী। রায়ানের মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজা মোহাম্মদ।