• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে গম পাঠাবে ভারত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম
নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে গম পাঠাবে ভারত
ছবি : রয়টার্স

নিষেধাজ্ঞার পূর্বে চুক্তিকৃত গম রপ্তানির চিন্তা-ভাবনা করছে ভারত সরকার। এতে প্রথম সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। ১ মিলিয়ন টন গম রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস বলছে, ১৩ মে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। এবার পূর্বে চুক্তি করা চালান রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি পরিমাণ রেল ও সড়কপথে বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এখন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে আছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে আসার পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে।

সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি বলছে, ১৩ মে‍‍`র আগে চূক্তি করা এলসিগুলোর ফাইল খাদ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ। তারা এসব চুক্তি যাচাই করবে। এরপর রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক গম রপ্তানিকারক বলেন, “শুরুতে ১ মিলিয়ন টন গম রপ্তানির অনুমতি চেয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ। এটা আমরা জানতে পেরেছি। এরমধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ টন বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

বাণিজ্য সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গম রপ্তানির জন্য ১৩ মে পর্যন্ত ২৫০ টিরও বেশি রেলওয়ে সেবা বুক করা হয়েছে। প্রতি রেকে ২৪৫০ টন গম বহন করার সক্ষমতা রাখে। যা প্রায় ৬ লাখ টন গম বহন করতে পারে। ২ লাখ টন গম সড়কপথে রপ্তানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাকিটা জাহাজে করে বা অন্যান্য গন্তব্যে পাঠানো হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এখনো ১০টি শস্য বোঝাই রেলওয়ে রেক আটকে আছে।

কলকাতা-ভিত্তিক রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, সীমিত মজুদ ক্ষমতা থাকায় ভারতীয় গম আমদানিতে বাংলাদেশ তাড়াহুড়ো করছে না। আমদানি করা গমের জন্য জায়গা তৈরি করতে বাংলাদেশকে প্রথমে গুদাম থেকে চাল বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা একটি গমের চালান খালাস করা হচ্ছে। ভারতীয় গমের তুলনায় অন্যান্য দেশে গমের দাম অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশ ভারতীয় গম পেতে আগ্রহী।

Link copied!