• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেবী কালীকে ‘মদ্যপ’ বলে তোপের মুখে পশ্চিমবঙ্গের এমপি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২, ০৭:৫১ পিএম
দেবী কালীকে ‘মদ্যপ’ বলে তোপের মুখে পশ্চিমবঙ্গের এমপি

হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। তাকে গ্রেপ্তার করতে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি জোটের নারী সদস্যরা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তৃণমূলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির নেতা জিতেন চ্যাটার্জী।

দেবী কালীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিজেপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ ও মামলার পর এক টুইট বার্তায় মহুয়া বলেন, “আমি কালীর উপাসক। আমি কিছুতেই ভয় পাই না। তোমাদের অজ্ঞতা ও গুন্ডাদের ভয় পাইনা। তোমাদের পুলিশ ভয় পাই না। সত্যের সমর্থনে শক্তির প্রয়োজন নেই।”

সম্প্রতি ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক নারীকে ধূমপান করতে দেখা যায়। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে সোমবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হলে তার মন্তব্যে ফের বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই সর্বভারতীয় তৃণমূল জানিয়ে দেয়, তারা মহুয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করছে না। বরং দলের সংসদ সদস্যের বক্তব্যের নিন্দা করছে।

কলকাতায় ইন্ডিয়া টুডের ওই অনুষ্ঠানে মহুয়া বলেছিলেন, “দেবী কালীকে মাংস খাওয়া ও মদ্যপ দেবী হিসেবে ভেবে নেওয়ার অধিকার আছে। কারণ প্রত্যেকের নিজস্ব উপায়ে ঈশ্বরের উপাসনা করার অধিকার রয়েছে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী আরও বলেন, “আপনি যদি ভুটান বা সিকিম যান, তাহলে দেখতে পাবেন পূজা করার সময় তারা দেবতাকে হুইস্কি দেয়। এখন আপনি যদি উত্তর প্রদেশে গিয়ে বলেন, আপনি দেবতাকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দেন, তারা বলবে এটি ধর্ম অবমাননাকর।”

তিনি বলেন, “আমার জন্য দেবী কালী একজন মাংস ভোজনকারী ও মদ গ্রহণকারী দেবী। আপনি যদি তারাপীঠে যান (পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার একটি প্রধান শক্তিপীঠ) সাধুদের ধূমপান করতে দেখতে পাবেন। এটি কালীর অনুসারীদের পূজার সংস্করণ (সেখানে)। হিন্দুধর্মের একজন কালী উপাসক হিসেবে কালীকে সেভাবে কল্পনা করার অধিকার আছে; এটাই আমার স্বাধীনতা।”

তৃণমূলের নেত্রী মহুয়া বলেন, “নিরামিষ ও সাদা পোশাকধারী হিসেবে আপনার দেবতাকে পূজা করার যতটা স্বাধীনতা আছে, আমার এটা (একজন মাংসভোজী দেবীর কল্পনা) করার ততটা স্বাধীনতা আছে।”

এরপরই তৃণমূলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপির নেতাকর্মীরা। এই বিষয়ের তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু বলেন, বিষয়টি তৃণমূল ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট করা উচিত। এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও তৃণমূল নেতারা একই কাজ করেছেন। আমরা মনে করি ভোট পাওয়ার জন্য হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এটি ক্ষমতাসীনদের (পশ্চিমবঙ্গের) অফিসিয়াল অবস্থান।

Link copied!