দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে পিছিয়ে গেছে তাইওয়ানের পার্লামেন্ট অধিবেশন। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির এমপিদের (ডিপিপি) সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন।
সংঘর্ষের কারণে সরকারপ্রধানের ভাষণও স্থগিত হয়ে যায়।
রয়টার্স জানায়, মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাংকে পার্লামেন্টে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় বিরোধীরা। এ সময় তাকে ভাষণ দিতে মঞ্চে যেতে বাধা দেন তারা।
একপর্যায়ে মঞ্চের দখলে নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষের নেতারা। যদিও পরে সংক্ষিপ্তভাবে ভাষণ দেন সু সেং-চ্যাং।
এর আগে ডিপিপি নেতারা মঞ্চে গেলে তাদের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারেন কেএমটি নেতারা। এ সময় ডিপিপির সিনিয়র নেতারা বিরোধী ও সাবেক ভাইস প্রমিয়ার এরিক চুকে তার সহকর্মীদের সংযত করতে আহ্বান জানান।
যদিও সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকের এক পোস্টে চু দাবি করেন, ডিপিপি নেতারা কেএমটি নেতাদের মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করতে বাধা দেওয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
রয়টার্স বলছে, তাইওয়ানের পার্লামেন্টে এটি নতুন দৃশ্য নয়। এখানকার এমপিদের হাতাহাতি ঘুষাঘুষির জন্যও ব্যাপক পরিচিতি আছে। গত বছর, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শূকরের মাংস আমদানির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের কারণে বুধবার বিকেলে পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করা হয়। তবে পার্লামেন্টে ডিপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।