ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ। এতে এখন পর্যন্ত ৭৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩৯ জনই বেলুচিস্তান প্রদেশের, যা অন্য যেকোনো প্রদেশের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি। এই পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে দেখছেন দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমান।
এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এত সংখ্যক মৃত্যুকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ভারী বর্ষণের কারণে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আরও বলেন, “জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) একটি বর্ষাকালীন দুর্যোগ মোকাবেলার পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তবে আরও ক্ষতি এড়াতে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমাদের এটি
এড়াতে একটি ব্যাপক পরিকল্পনা দরকার। এসব ধ্বংস জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে।”পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) অনুসারে, দেশের বিভন্ন অঞ্চলে এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ৮ জুলাই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
যদিও বুধবার বিকেলের প্রায় শেষ পর্যন্ত করাচিতে খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। তবে সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া শক্তিশালী আবহাওয়া ব্যবস্থার প্রভাবে মহানগরীতে ৪০-৫০ মিমি বৃষ্টিপাত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিন্ধুর দক্ষিণে নিম্ন বায়ুচাপ রয়েছে। যা উত্তর আরব সাগর থেকে সৃষ্ট আর্দ্রতা পাচ্ছে। ফলে ৮ জুলাই পর্যন্ত থারপারকার, উমেরকোট, মিরপুরখাস, বাদিন, থাট্টা, হায়দ্রাবাদ ও তান্ডো আল্লায়ারে মাঝে মাঝে মাঝারি বৃষ্টি-বজ্রঝড় হতে পারে। একই সময় পর্যন্ত টান্ডো মুহাম্মদ খান, জামশোরো, সাংঘর, নবাবশাহ, দাদু, নোশেরো ফিরোজ, কাম্বার শাহদাদকোট, লারকানা, শিকারপুর, জ্যাকোবাবাদ, শুক্কুর জেলা ও করাচিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই বৃষ্টির কারণে করাচি বিভাগ, হায়দ্রাবাদ, জামশোরো, দাদু, কাম্বার শাহদাদকোট, শিকারপুর, লারকানা, জ্যাকোবাবাদ ও শুক্কুর জেলার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।