তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে ২৯টি যুদ্ধবিমান উড়িয়ে মহড়া দিয়েছে প্রতিবেশী চীন। পাল্টা জবাব দিতে জঙ্গিবিমান পাঠিয়ে বেইজিংকে সতর্ক করেছে তেইপেই। তাইওয়ানের বিমানগুলো দেশের দক্ষিণ ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ওড়ে।
আল-জাজিরা বলছে, মে মাস থেকে এই দ্বীপরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনের যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবশেষ মঙ্গলবারের অনুপ্রবেশের ঘটনার পরপরই বেইজিংকে সতর্ক করল তেইপেই। এই পাল্টা জবাবে বোমারু বিমানও ছিল।
তাইওয়ানের আকাশে একসঙ্গে এত বেশি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের সংখ্যায় তৃতীয় ছিল এই বহর। এর আগে ৩০ মে ৩০টি ও জানুয়ারিতে একসঙ্গে ৩৯টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন চীনের বিমানগুলোর মধ্যে ১৭টি যুদ্ধবিমান, ৬টি এইচ-৬ বোমারু বিমান, একটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান, আগাম সতর্কতা, সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান ও আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী একটি বিমান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরে চীনা বিমানগুলোগে সতর্ক করার জন্য জঙ্গিবিমান পাঠায় তাইওয়ান। নিজেদের রুট নিরীক্ষণের জন্য এই বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল। বেইজিংকে পাঠানো এটা তেইপেইয়ের মৃদু সতর্কবার্তা।
এ বিষয়ে চীনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তারা আগে বলেছিল, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তাইওয়ান এক বছরের বেশি সময় ধরে অভিযোগ করছে, তাদের আকাশসীমায় বারবার অনুপ্রবেশ করছে চীনের যুদ্ধবিমান। এটিকে ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখছে তেইপেই। এসব মহড়া দেখিয়ে চীনের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানের কাছ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা।
চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। দেশটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধবিমান মহড়া বৃদ্ধি করেছে। বেইজিং দাবি করছে, নিজেদের প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে তারা। তাদের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে তাইওয়ান। সঙ্গে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনের এই ‘সংঘাত’ সৃষ্টি তাইওয়ান সরকারের জন্য বড় বাধা। নিজেদের আনুষ্ঠানিক স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার বিরুদ্ধে এটি একটি সতর্কতা। যদিও বেইজিং দাবি করে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এসব মহড়া দেওয়া হয়।