সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই চীনকে নিয়ে ‘মিথ্যা বার্তা’ দিল তাইওয়ানের এক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। পরে নিজেদের ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে টেলিভিশন চ্যানেলটি।
বুধবার (২০ এপ্রিল) তাইওয়ানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এক টিভিতে জানানো হয়, দেশের রাজধানী তাইপাইতে আক্রমণ চালিয়েছে চীন। পরে বিষয়টিকে নিজেদের ভূল হিসেবে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে তারা। একই সঙ্গে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বুধবার সকালে সরাসরি খবর সম্প্রচারের সময় চাইনিজ টেলিভিশন সিস্টেম এক ভূল বার্তা দেয়। যেখানে শিরোনাম চলাকালে লেখা দেখায়, তাইওয়ানের রাজধানী তাইপাইয়ের কাছে চীনের সামরিক জাহাজ অবস্থান নিয়েছে। শহরে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।
তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আরও জানানো হয়, “তাইওয়ানের অনেক ট্রেন ষ্টেশনে হামলা চালিয়েছে চীনা প্রতিনিধি। হামলায় আগুন ধরে গেছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।”
টেলিভিশন চ্যানেলটি পরে বিষয়টি পরিষ্কার করে। নেটওয়ার্কের নিউজ বুলেটিনে এক উপস্থাপক বলেন, “নাগরিকগণ, অনুগ্রহ করে অতিমাত্রায় আতঙ্কিত হবেন না। আমরা তথ্যটি (চীনা আক্রমণের মিথ্যা বার্তা) স্পষ্ট করছি এবং ক্ষমাপ্রার্থী।”
এই উপস্থাপক আরও বলেন, “মঙ্গলবার নিউ তাইপেই শহরের এক ঘটনা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিষয়ে সতর্কতা ছিলো। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বুধবার সকালে এটি ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।”
তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন কখনোই শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করেনি। বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি মেনে নিতে দ্বীপটিকে চাপ দিতে গত দুই বছর ধরে সামরিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে চীন। ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে নিজেদের সতর্কতার স্তর বাড়িয়েছে তাইওয়ান।