নির্বাচনী প্রচারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। হাঁসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আবের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একটি সূত্র।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, গুলিবিদ্ধ আবেকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সংবাদ সম্মেলনে নারা মেডিকেল ইউনিভার্সিটির চিকিত্সকরা জানান, শিনজো আবেকে যে বুলেটটি হত্যা করেছিল তা ‘তার হৃদযন্ত্রে পৌঁছানোর মতো গভীর ছিল’। বুলেটের আঘাতে আবের রক্তপাত হয়, চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও রক্তপাত বন্ধ করতে পারেনি।
জাপানি মিডিয়ার প্রচার করা দৃশ্যে দেখা যায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নারার একটি ট্র্যাফিক দ্বীপে বক্তৃতার সময় এক যুবক ৬৭ বছর আবের উপর পিছন থেকে গুলি চালায়। হামলাকারীর বন্দুকটি বাড়িতে বানানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স বলছে, ১৯৩০ এর দশকে যুদ্ধ-পূর্ব সামরিক শাসনের দিন থেকে জাপানের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো বর্তমান বা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গুপ্তহত্যার ঘটনা।
আবের মৃত্যুর ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ‘কঠোর ভাষায়’ গুলি চালানোর নিন্দা করেন। জাপানের জনগণ ও বিশ্ব নেতারা এমন একটি দেশে এই ধরণের সহিংসতায় শোক প্রকাশ করেন। কারণ জাপানে রাজনৈতিক সহিংসতা বিরল ও কঠোরভাবে বন্দুক নিয়ন্ত্রিত।