বর্তমানে প্রচলিত করোনার টিকাগুলোর প্রায় সব কটিই আরএনএ-ভিত্তিক টিকা। তবে এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনার ডিএনএ টিকার জরুরি অনুমোদন দিল ভারত।
সাধারণত আরএনএ টিকাতে পরীক্ষাগারে তৈরি একটি দুর্বল ভাইরাস দিয়ে মানবদেহে আক্রমণকারী অন্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিষেধক তৈরি করা হয়।
তবে আরএনএ টিকায় দুর্বল ভাইরাসটির পরিবর্তে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের একটি অংশ দিয়েই মূল ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধযোগ্য টিকা তৈরি করা হয়ে থাকে।
বিবিসি জানায়, জাইকোভ-ডি নামের তিন ডোজের এই টিকার ডিএনএ অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই টিকা উদ্ভাবন করেছে কাডিলা হেলথকেয়ার।
প্রতিষ্ঠানটির জানায়, তাদের গবেষণায় করোনা প্রতিরোধে এই টিকা ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকার বলে প্রমাণিত হয়েছে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্যও এই টিকা নিরাপদ।
প্রতিবছর ১২ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে কাডিলা হেলথকেয়ার। বিবিসি জানায়, অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে ডিএনএ টিকা কার্যকর হলেও মানুষের ক্ষেত্রে আগে তেমন একটা সাফল্য দেখা যায়নি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা তথা কোভিশিল্ড, ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোভ্যাক ও যুক্তরাষ্ট্রের জনসনের তৈরি করোনা টিকার অনুমোদন দেয় ভারত।
এ পর্যন্ত দেশটির ১৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। আর টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ মানুষ।