এ বছর হজ পালন করার জন্য পুরো বিশ্ব থেকে ১০ লাখ মানুষের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এবার দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের হজের জন্য বিশ্বের সব দেশের হজযাত্রীদের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সৌদি সরকারের সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট।
সৌদি গ্যাজেট বলছে, ২০২২ সালের হজে সর্বোচ্চ কোটা দেওয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়াকে। দেশটি থেকে হজে যোগাদানের জন্য ১ লাখ ৫১ জনের কোটা বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি সরকার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, দেশটি থেকে ৮১ হাজার ১৩২ জনকে হজে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে। তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত, নয়াদিল্লি সরকার এবার ৭৯ হাজার ২৩৭ জনকে হজে পাঠানোর জন্য কোটা নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব। ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনের অনুমতি পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
সর্বনিম্ন কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলিয়ার জন্য। দেশটি থেকে মাত্র ২৩ জন হজে অংশ নিতে পারবেন।
এদিকে আরব দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াকে। আসন্ন হজে দেশটি থেকে ৪৩ হাজার ৮ জন অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া মিশরের জন্য ৩৫ হাজার ৩৭৫, ইরানের জন্য ৩৮ হাজার ৪৮১ ও তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজে অংশ নেওয়ার জন্য কোটা বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি সরকার।
সূত্র মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়ে ৯ হাজার ৫০৪ জন। যেখানে রাশিয়ার জন্য কোটা ১১ হাজার ৩০৮, চীন থেকে ৯ হাজার ১৯০, থাইল্যান্ড থেকে ৫ হাজার ৮৮৫ ও ইউক্রেনের জন্য ৯১টি কোটা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এর আগে জানায়, এই বছরের হজে অংশ নিবে ১০ লাখ মানুষ। এরমধ্যে বিদেশিদের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে ৮৫ শতাংশ, যার মানে ৮ লাখ ৫০ হাজার। আর দেশীয় হজযাত্রী থাকবেন ১ লাখ ৫০ হাজার।
এবারের হজে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের অনুমতি না দেওয়া। যারা হজে অংশ নিবেন তাদের অবশ্যই করোনা প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকতে হবে।