• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

এবার রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাজ্য


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২২, ০৭:২৬ পিএম
এবার রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাজ্য

ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। এবার যুক্তরাজ্যের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ সিনিয়র মন্ত্রীদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা লন্ডনের লাগামহীন তথ্য এবং রাজনৈতিক প্রচারণার উদ্দেশ্য। আমাদের দেশীয় অর্থনীতিকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের চারপাশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। কিয়েভ সরকারকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে উসকে দিচ্ছে। ন্যাটোর পক্ষ থেকে অনুরূপ প্রচেষ্টার সমন্বয় করছে।”

মস্কো বলছে, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া, পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস, উপ-প্রধানমন্ত্রী, লর্ড চ্যান্সেলর, সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর জাস্টিস ডমিনিক রাব, ট্রান্সপোর্ট গ্রান্ট শ্যাপ্সের রাজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল, চ্যান্সেলর ঋষি সুনক, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং, ডিজিটাল- সংস্কৃতি-মিডিয়া ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাদিন ডরিস, সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী জেমস হেপি।

এছাড়া মস্কোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন,  স্কটল্যান্ডের প্রথম মন্ত্রী নিকোলা স্টারজন, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের অ্যাডভোকেট জেনারেল সুয়েলা ব্রাভারম্যান এবং কনজারভেটিভ এমপি ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে মস্কো।

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন সরকার রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। যদিও তারা ন্যাটো সৈন্য পাঠানো বা নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউক্রেনে আরও ৮০০ মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক আক্রমণাত্মক অস্ত্র পাঠানো হবে। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে মস্কো। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ না করলে ‘অনাকাঙ্খিত পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন।

Link copied!