• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইমরানের সব আছে, শুধু বুদ্ধি নেই : সাবেক স্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২২, ০৩:১৪ পিএম
ইমরানের সব আছে, শুধু বুদ্ধি নেই : সাবেক স্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। আগামী রোববার (৩ এপ্রিল) তার ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেকটা ঝড় বয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ইমরানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) ওপর। পিটিআইয়ের কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যে দল ত্যাগ করেছে। ফলে অনাস্থা ভোটের ফল বিরোধী দলের পক্ষে আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।

এমন দুঃসময়ে সাবেক স্ত্রীর কাছ থেকেও শুনছেন অতি কষ্টদায়ক কথা। সাবেক স্ত্রী ও সাংবাদিক রেহাম খান সমালোচনা করছেন ইমরানের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। এই ভাষণে তিনি কূটনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরানের সাবেক স্ত্রী রেহামও।

এক টুইটে রেহাম বলেন, “বুদ্ধি ছাড়া এই লোকটার সবই আছে।”

আরেক টুইটে রেহাম বলেন, “হ্যাঁ, আপনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তখন পাকিস্তান অত্যন্ত ভালো ছিল।”

রেহাম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তির ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন।

ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রেহাম। পেশায় সাংবাদিক রেহামকে ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। এক বছরের মাথায় পারস্পরিক সম্মতিতে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরানে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় তা আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

আগামী রোববারই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ভোটের যে হিসাব, তাতে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন ইমরান।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর দুর্নীতি রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। পাঁচ বছর ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চলছে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে এ পর্যন্ত দুই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট ডাকা হয়। তবে দুবারই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীরা দায়িত্বে থেকে যেতে সক্ষম হন। ১৯৮৯ সালে বেনজির ভুট্টো ও ২০০৬ সালে শওকত আজিজ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

কিন্তু বর্তমান সমীকরণ বলছে, ওই দুজন পার পেয়ে গেলেও অনাস্থা ভোটের ফলে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

জনসমর্থন হারানোর পেছনে ইমরান খানের সরকারের আরও কিছু দায় আছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চড়া মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি অন্যতম। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের ‘আত্মাভিমান’ ও ‘অনমনীয়তা’ সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্বকে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে।

Link copied!