ইতালির সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন কট্টর ডানপন্থী জর্জিয়া মেলোনি। দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
তবে ডানপন্থী সরকারের অধীনে ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালির সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে ইউরোপের পাশাপাশি অনেক দেশই উদ্বিগ্ন।
যদিও নির্বাচনের পর মেলোনি বলেছেন, তার দল ব্রাদার্স অব ইতালি সবার জন্য কাজ করবে। তবে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল দেশে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রভাব দুর্বল করা। এই নীতি বাস্তবায়ন করলেও চাপ সৃষ্টি হতে পারে অভিবাসীদের ওপর।
বিবিসি জানায়, প্রতিবছর ইউরোপে ঢোকার জন্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ও স্থলপথে প্রচুর মানুষ ইতালি যান। এদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করছেন এক লাখের বেশি বাংলাদেশি। আর বৈধ কাগজপত্র নেই কিংবা অভিবাসন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এমন বাংলাদেশি ৫০ হাজারের বেশি।
ফলে যারা ইতিমধ্যে কাজ ও বসবাসের বৈধতা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা না থাকলেও নতুন সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা রয়ে গেছে বাকিদের মধ্যে।
এ ছাড়া নতুন সরকার মুসলিমবিরোধী মনোভাবের হতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। নতুন অভিবাসীদের ইতালিতে যেতে নিরুৎসাহিত করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।