• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ইতালিতে ৭০ বছরে ভয়াবহ খরা, হিমবাহ ধসে ৭ মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০৩:৩৬ পিএম
ইতালিতে ৭০ বছরে ভয়াবহ খরা, হিমবাহ ধসে ৭ মৃত্যু

ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে ইতালির একাংশে। ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরার কবলে পড়েছে দেশটির উত্তরে পো নদীর পার্শ্ববর্তী পাঁচটি অঞ্চল। খরা মোকেবালেয় পো নদীর পার্শ্ববর্তী পাঁচটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইতালি সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ইতালির দীর্ঘতম নদী পো। দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে ৬৫০ কিলোমিটারজুড়ে এর বিস্তৃতি। এই অঞ্চলের নৌপথের অনেকাংশ শুকিয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন, পনির প্রবাহ এতটাই দুর্বল, সমুদ্রের পানি অভ্যন্তরীণভাবে তলিয়ে যাচ্ছে, ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে দেশটির দলোমাইতস পর্বতমালা থেকে হিমবাহ ধসে ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। হিমবাহের ধসের ফলে তুষারধসে মারমোলাদা পর্বতে অন্তত সাতজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আটজন। থার্মাল ইমেজিং ড্রোন নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিখোঁজদের অনেকে বিদেশি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি সোমবার অঞ্চলটি পরিদর্শনে যান। তিনি বলেছিলেন, বিপর্যয়টি “সন্দেহ ছাড়াই” বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে যংযুক্ত।

দেশের একাংশে খরার বিষয়ে ইতালির কৃষিভিত্তিক সংস্থা কোল্ডিরেত্তি বলছে, দেশের ৩০ শতাংশের বেশি কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে রয়েছে। শীত ও বসন্তজুড়ে অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তর ইতালিতে পানির ঘাটতি বৃদ্ধি করেছে। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় ইতিমধ্যেই বাহির থেকে পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ইতালি সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার লক্ষ্য হলো বর্তমান পরিস্থিতিকে অসাধারণ উপায় ও ক্ষমতা দিয়ে মোকাবেলা করা। জরুরি অবস্থা চলাকালীন খরায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে। খরা মোকাবেলা করার জন্য ভবিষ্যতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”

জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা অঞ্চলগুলো হলো এমিলিয়া-রোমাগনা, ফ্রিউলি ভেনেজিয়া গিউলিয়া, লোমবার্ডি, পিডমন্ট ও ভেনেটো। এসব অঞ্চলে পানির ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরোর তহবিল গঠন করেছে সরকার।

Link copied!