• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে ‘চীনের হস্তক্ষেপ’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে ‘চীনের হস্তক্ষেপ’

অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যেই নিজ দেশের রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এর আগেও দেশের নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য বেইজিংকে দোষারোপ করেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রোস।

রয়টার্স বলছে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বেইজিংয়ের নিকটবর্তী সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসা হয় বলে দাবি করেন অ্যান্ড্রোস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরই চীনের প্রতি অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী মরিসন।

স্কট মরিসন বলেন, “চীনা সরকার আমদের দেশে যা চাচ্ছে, আমরা সে ব্যাপারে খুব সচেতন। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে তারা একটি কাঠামো তৈরি করেছে।”

আগামী ২১ মে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জরিপ বলছে, নির্বাচনে স্কট মরিসনের কনজার্ভেটিভ জোট হারার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি মূলত বিদেশি রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের একটি কাঠামো। তারা অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন প্রভাবিত করতে এই চুক্তি করছে।

তবে চীন দাবি করেছে, কাউকে লক্ষ্য করা সলোমন দ্বীপপুঞ্জের চুক্তির অংশ নয়। একই সঙ্গে চীন ও সলোমনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনভাবে পছন্দের বিষয়ে সম্মান করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ সলোমন অস্ট্রেলিয়ার উপকূল থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে। তাদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে চীন সামরিক শক্তি বাড়াবে এই অঞ্চলে। বেইজিংয়ের সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। যা স্কট মরিসনের জোটের জাতীয় নিরাপত্তা প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে।

অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী লেবার পার্টি এই সপ্তাহে চুক্তিটিকে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যর্থতা বলে অভিহিত করে। এরপরই মরিসনের সরকার চীনের প্রতি মন্তব্যকে কঠোর করেছে।

Link copied!