যুদ্ধ শেষে ন্যাটোতে ইউক্রেন যোগ দিতে চান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সময় ইউক্রেন যে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না, সেটা তিনি ভালো করেই বোঝেন। আগামী মাসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, জোটে যোগ দেওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সময়ে একটি নিশ্চয়তা চায় কিয়েভ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আরটি পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ন্যাটোতে যোগদানে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জোর চেষ্টা চালালেও, এটির বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভেটোতে ভেস্তে যেতে পারে ইউক্রেনের স্বপ্ন।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেছেন, ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবসম্মত হবে। আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছি।
আগামী মাসে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সদস্যদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে গত ৫-৬ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্সে (ন্যাটো) যোগ দেওয়ার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এতদিন পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনো সাড়া না দিলেও এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ন্যাটো মহাসচিব জিনস স্টলটেনবার্গ।
মঙ্গলবার উত্তর ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টলটেনবার্গ। বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে স্টলটেনবার্গ জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই কেবল ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রদানের ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে; তার আগে নয়।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, এখানে(ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের টিকে থাকা। কারণ, যদি পুতিন এই যুদ্ধে জিতে যান— ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রশ্নটিই অবান্তর হয়ে যাবে। তাই এ যুদ্ধে জয়ী হওয়াই হলো ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রথম ও প্রধান পূর্বশর্ত।
অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনকে আপাতত সদস্যপদ না দেওয়া হলেও কিয়েভের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ন্যাটো এবং চলমান এই যুদ্ধে দেশটিকে সামরিক সহায়তা প্রদানও অব্যাহত রাখা হয়েছে।