লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর পুনো শহরের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে মাতালের অভিনয় করছিলেন ডেলিভারি ম্যানের কাজ করা এক যুবক। সন্দেহ হলে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা ‘কুলার ব্যাগ’ তল্লাশি করে পুলিশ। ব্যাগটি খোলার পর চমকে যান পুলিশ সদস্যরা। কারণ এর ভেতর তারা খুঁজে পান মানুষের মমি।
বুধবার (১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, মমিটি দীর্ঘদিন থেকে তার কাছে আছে। এটিকে তিনি নিজের কাছেই রাখতেন। এছাড়া মমিটিকে নিজের ‘আধ্যাত্মিক প্রেমিকা’ হিসেবে ভাবতেন এবং এটির নাম দিয়েছিলেন ‘জুয়ানিতা।’ এটি তার বাবার মালিকানাধীন, তবে কীভাবে তার বাবার দখলে এসেছে তা জানাতে পারেননি। তার বন্ধুদের দেখানোর জন্য এটিকে ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা কুলার ব্যাগে বহন করা মমিটি জব্দ করে পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। এছাড়া প্রাচীন নিদর্শন নষ্টের অভিযোগে ওই যুবক ও তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
মমিটি প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মমিটি ৬০০ থেকে ৮০০ বছরের পুরোনো। এটি নারীর নয় বরং একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মমি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৪৫ বছরের বেশি। উচ্চতা ছিল ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি (১ দশমিক ৫১ মিটার)। মমিটি ভ্রূণের অবস্থানের মতো করে ব্যান্ডেজে মোড়ানো ছিল। যা এই অঞ্চলের প্রাক-হিস্পানিক সমাধিগুলোর বৈশিষ্ট বহন করে।
পেরুতে প্রাচীন আমলে মমি করার প্রচলন ছিল। কিছু মমিকে কবরস্থ করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় কিছু মমি বের করে সেগুলো নিয়ে রাস্তা প্রদক্ষিণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো।