বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অনেক চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি করছে। যেখানে কর্মীদের মনোবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হচ্ছে। বিশেষত, যুক্তরাজ্যে পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন এক নীতিমালা করা হচ্ছে। যার নাম ‘আওয়ার মেইক ওয়ার্ক পে’।
নতুন সেই নীতিমালায় যুক্তরাজ্যের কর্মী বা চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যেখানে কর্মীরা চাইলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে সপ্তাহে চারদিন কাজ করার আবেদন জানাতে পারবেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। সেই সঙ্গে ব্যবসার ভালো পরিবেশ তৈরি করা। যেন সেটা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অনেক চাকরিদাতা এরই মধ্যে পরিবারবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি করেছে। কারণ তারা জানে এর মধ্য দিয়ে কর্মীদের মনোবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় এলবিসি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জ্যাকুই স্মিথ বলেন, “আমরা মনে করি, বেশি ছুটি কাটানোর বিষয়টি উৎপাদনের জন্য ইতিবাচক।” উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আপনি সপ্তাহে পাঁচদিন আট ঘণ্টা করে অফিস করার চেয়ে সপ্তাহে চারদিন ১০ ঘণ্টা করে অফিস করতে পারবেন।”
উভয় ক্ষেত্রেই যে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা সময় দিতে হচ্ছে সে বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “তবে একদিন বেশি ছুটি পাওয়ার কারণে আপনাকে আগের মতো চাইল্ডকেয়ারের পেছনে অর্থ খরচ করতে হবে না। আপনি পরিবারের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে পারবেন। আর এতে কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।”
তবে অনেক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের সুযোগ রাখতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী জ্যাকুই স্মিথ। তবে অন্যান্য কর্মদিবসে অতিরিক্ত কাজ করার বিপরীতে সপ্তাহে তিনদিন ছুটি রাখার সুযোগ রাখা হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “চাকরিজীবী কিংবা চাকরিদাতা কারো ওপরই চার কর্মদিবস চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই। চাকরির নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনা হলে সে বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করা হবে।”