ইরানে নারীদের মাথা ঢেকে রাখা, শালীন পোশাক পরাসহ কঠোর ইসলামিক পোশাকবিধি অমান্যে ১০ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রেখে নতুন আইন পাস হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এই আইন পাস হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডন।
ইরানে পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাশা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের এক বছর পরে সাজা বাড়িয়ে নতুন আইন করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের পর থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে ইরানি নারীরা জনসমক্ষে হিজাব বা মাথার স্কার্ফ ছাড়া এবং খুব আঁটসাঁট বা ‘খোলামেলা’ বলে মনে করা পোশাক পরে আসতে শুরু করে।
সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইরানের আইনসভা ‘তিন বছরের ট্রায়ালের জন্য হিজাব ও সতীত্বের সংস্কৃতির জন্য সমর্থন’ বিল অনুমোদন করেছে।
২৯০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৫২ জন পক্ষে, ৩৫ জন বিপক্ষে ও ৭ জন ভোট দেননি। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন। বিলটির এখনো গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন।
গত বছরের বিক্ষোভে, যাকে ইরানি কর্তৃপক্ষ বিদেশি-প্ররোচিত ‘দাঙ্গা’ বলে অভিহিত করে, নিরাপত্তাকর্মীসহ শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হন।
নতুন আইনের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন যদি ‘শত্রু বিদেশি শক্তির’ সঙ্গে যুক্ত বলে বিবেচিত হয়, তবে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
‘বিদেশি বা শত্রু সরকার, গণমাধ্যম, গোষ্ঠী বা সংস্থার সহযোগিতায়’ পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনকারী নারীদের ৫ থেকে ১০ বছরের জেল হতে পারে।
যাদের ‘জনসমক্ষে অর্ধ-উলঙ্গ’ দেখা যাবে, তাদের দীর্ঘ কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে। হিজাব ছাড়া গাড়ি চালানো বা ‘অনুপযুক্ত পোশাক’ পরা নারীদের পাঁচ মিলিয়ন রিয়াল বা প্রায় ১০ ডলার জরিমানা করা হবে।
খসড়া আইনটিতে গণমাধ্যমে ‘নগ্নতা প্রচার’ বা ‘হিজাবকে উপহাস’ করার বিরুদ্ধে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।