• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২২ রজব ১৪৪৬

যেই নারীরা একবারই শুধু বিয়ের সময় গোসল করেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
যেই নারীরা একবারই শুধু বিয়ের সময় গোসল করেন
ছবি : সংগৃহীত

জীবনযাপনে কত রীতিনীতি-নিয়মকানুনে ভরা এ বিশ্ব। গভীর রহস্যে ভরা আফ্রিকা মহাদেশ। সেখানকার আদিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে এশিয়া বা পশ্চিমা দুনিয়ার সংস্কৃতির আকাশ-পাতাল ফারাক। আধুনিক সমাজের কাছে তাদের একাধিক রীতিনীতি এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অস্বাভাবিক বলে গণ্য হবে। অথচ এগুলোই আদিবাসী যাযাবর আদিম গোষ্ঠীর কাছে একেবারে স্বাভাবিক ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত।

সেই রকমই একটি উপজাতি হিম্বা। এদের বাসস্থান নামিবিয়ায়। শেষ আধা-যাযাবর উপজাতি বলে বিশ্বের কাছে পরিচিত এরা। মূলত নামিব মরুভূমিতেই বসবাস করেন এই উপজাতির মানুষেরা। জীবনযাত্রা যেমন বৈচিত্রে ভরা, তেমনই যৌনতা নিয়েও তাদের রীতিনীতি খুবই অদ্ভুত। আর হিম্বা নারীরা জীবনে বিয়ের সময় একবারই গোসল করেন।

উত্তর নামিবিয়ার কুনেনে বাস করা হিম্বা উপজাতির মানুষ অতিথিবৎসল। বরং একটু বেশিই, যা আধুনিক সমাজের মানুষ স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না।

স্বামীদের সম্মতিতেই এই উপজাতির বিবাহিত নারীরা পর্যটক বা ঘুরতে আসা অতিথিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন। যৌন মিলনের জন্য নিজের স্ত্রীদের পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়াকে আতিথেয়তার পরাকাষ্ঠা হিসাবে বিবেচিত করা হয় হিম্বা সমাজে।

অতিথির সঙ্গে রাত কাটান ঘরের বউ, গোসল নিষিদ্ধ‍‍` - Swadesh Bangla

স্ত্রী অদলবদল করার মতো সংস্কৃতি গোটা পৃথিবীতে বাঁকা নজরে দেখা হলেও এই প্রথাটি হিম্বা জনগণের মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে বিদ্যমান। পুরুষেরা তাদের স্ত্রীদের অচেনা পুরুষদের সঙ্গে রাত কাটাতে দেওয়ার মধ্যে কোনো দোষ খুঁজে পান না। হিম্বা উপজাতির পুরুষদের একাধিক স্ত্রী থাকাও খুবই সাধারণ ব্যাপার। প্রত্যেক নারীই সতীনের সঙ্গে সংসার করেন। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে আনলে তাকে সাদরে বরণ করে নেন প্রথম স্ত্রী। একইভাবে পুরুষেরাও অন্য পুরুষের সঙ্গে মিলনে বাধা দেন না স্ত্রীদের।

পানির অভাবে হিম্বা নারীরা গোসল করতে অভ্যস্ত নন। শোনা যায়, বিয়ের সময় একবারই গোসল করেন তারা। পরিষ্কার থাকার জন্য আগুনের ধোঁয়ার মধ্যে মোটা পশমের বস্ত্র জড়িয়ে বসে থাকেন নারীরা। এতে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে ময়লা বেরিয়ে যায়।

বিদেশি পর্যটকদের আগমন, যারা হিম্বাদের সংস্কৃতি দেখতে আসেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে হিম্বাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও।

Link copied!