নজিরবিহীন হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে সেই ঘোষণার পর গত ৫ দিনেও কখন, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাকা মন্ত্রীসভার নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত না হলেও ৩০ এপ্রিলের আগে হামলা চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ইসরায়েলি একাধিক সূত্র এবিসি নিউজকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে অন্তত দুইবার ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিলেও পরে সেই মিশনগুলো বাতিল করা হয়। সূত্রমতে, ইসরায়েলি সমরবিদেরা যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সামনে একাধিক বিকল্প হাজির করলেও তারা এখনও খতিয়ে দেখছে কোন উপায়ে হামলা চালালে তা সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে।
এদিকে, ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানানোর পদ্ধতি ঠিক করতে রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার বৈঠক করছে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।
বৃস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদি ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব পাসওভারের আগে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা চালানোর সম্ভাবনা কম। সপ্তাহজুড়ে চলা সেই উৎসব ২২ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে এর আগে দুই দফায় ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিয়েও সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসে ইসরায়েল।
মার্কিন এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাসওভার উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা চালাবে না ইসরায়েল। তবে এই সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। মিসরীয় শাসন থেকে ইহুদি জাতির মুক্তির সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উৎসব উদ্যাপন করা হয়।