চীনাদের পছন্দ কে, ট্রাম্প না কমলা?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
চীনাদের পছন্দ কে, ট্রাম্প না কমলা?
মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এমন এক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে, যখন তাইওয়ান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক বহু বিষয় নিয়ে দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ‘চীন-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েন দিন দিনই বাড়ছে। যা দেখে চিন্তিত চীনারা। তারা যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত। বলছেন, ‘আমরা শান্তি চাই। প্রেসিডেন্ট যেই হোক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো চাই। বিশ্বে উত্তেজনা চাই না।’

বয়স্ক এক চীনা নাগরিক মেঙ চানের প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়লাভ করবেন। মেঙ বলেন, “ট্রাম্প চীনের ওপর অনেকগুলো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও কোনো যুদ্ধ শুরু করেননি। যা করেছেন জো বাইডেন ইউক্রেনে যুদ্ধ বাঁধিয়ে।” আরও কয়েকজন নারী বললেন, “নির্বাচনী বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ক্ষমতা হাতে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানবেন।”

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস সম্পর্কে সেই নারীরা বলেন, “হ্যারিস সম্পর্কে আমরা খুব বেশি জানি না। আমরা মনে করি, তিনি (নির্বাচনে জয়লাভ করলে) প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেখানো পথেই হাঁটবেন, যিনি যুদ্ধে সমর্থন দিচ্ছেন।”

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও ট্রাম্পের পক্ষেই প্রচারণা চলছে। মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে ‘আরবীয় ভাই’ উল্লেখ করে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। সেই সঙ্গে, যুদ্ধে ইসরাইলকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করতেও বিলম্ব করেনি চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াঙ ই ইউক্রেন ইস্যুতে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালন করার কথা জাতিসংঘকে জানিয়েছেন। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওয়াশিংটন নিজের স্বার্থসিদ্ধি করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। তবে বিশ্লেষকদের বেশিরভাগই মনে করেন, মার্কিন নির্বাচনে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউসে ঢুকবেন, সে বিষয়ে বেইজিংয়ের কোনো পছন্দ-অপছন্দ নেই।

গণমাধমের প্রতিবেদনে দেওয়া মতামতে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস সম্পর্কে চীনের সাধারণ জনগণ, এমনকি নেতারাও খুব বেশি কিছু জানেন না। তবে তাইওয়ানের মতো বড় ইস্যুর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়ে কমলার অবস্থান বেশি স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

বেইজিংয়ের পার্কে বেড়াতে আসা কয়েকজন নাগরিক বলছিলেন, “আমরা ট্রাম্পকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ভালো কোনো ভবিষ্যৎ আছে। অনেক সমস্যা আছে।”

চীনের ব্যবসায়ীরাও ট্রাম্পকে পছন্দের তালিকার নিচে রাখছেন। তারা বলছেন, ট্রাম্পকে নিয়ে বড় উদ্বেগ হলো তিনি প্রেসিডেন্ট হলে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। যে কারণে ব্যবসায়ীরা তাকে মোটেই পছন্দ করছেন না। কারণ, তারা এখন অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত পণ্য তৈরিরর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Link copied!