সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ আল–বশির। ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে থাকবেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ-পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে একটি বক্তৃতায় আল-বশির দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। ৪১ বছর বয়সী আল-বশির জন্মেছেন ১৯৮৩ সালে, ইদলিব প্রদেশের জাবাল আল-জাওইয়ায়। কয়েক বছর ধরেই এ এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) হাতে।
অলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিভাগ থেকে স্নাতক হয়েছেন আল-বশির। তারপর ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইসলামিক অ্যান্ড সিভিল ল’ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। মাঝে কিছুদিনের জন্য সিরিয়ার সরকারি গ্যাস সংস্থায় কাজও করতেন।
এর আগে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া এবং ইদলিবের দখল নিয়েছিলেন বিদ্রোহীরা। সেখানকার সরকারি পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন বাসিন্দাদের সহায়তা করার জন্য ২০১৭ সালে গড়া হয় ‘মুক্তিকামী সরকার’। গড়া হয় বিভিন্ন স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তাবাহিনী। ওই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করত এইচটিএস এবং তার সহযোগী বিদ্রোহী গোষ্ঠী। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন আল-বশির। তার আগে এসএসজির উন্নয়নমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে দুই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে উপর্যুপরি আক্রমণে পিছু হটে সিরিয়ার আসাদ সরকার। রোববার নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। সপরিবারে আশ্রয় নেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়।