ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় প্রথম নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, কড়া বার্তাও দিয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে থাকতেই ধ্বংস করা হয়েছে। আর ইরানের এই হামলা ঠেকাতে কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে ইসরায়েল। এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দাবি করেছেন ইরানের হামলা শুরুর পর মার্কিন সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের ছোড়া প্রায় সব কটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, ইরানের হামলা ঠেকিয়েছে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমানও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে একটি ‘আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ জন্য ওই অঞ্চলে নতুন করে আরও বিমান পাঠিয়েছিল রয়েল এয়ারফোর্স।
ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষায় ফ্রান্সও কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। জর্ডানও এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের হামলার পর তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে ইরান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েল লক্ষ্য করে ইরান তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলের আকাশসীমায় ঢোকার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার অবকাঠামোগুলোয় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।