মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এই ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৮০ লাখের বেশি ভোটার। জাতীয়ভাবে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট হলেও আজ রাতেই ফল জানা যাবে না। বিভিন্ন কারণে জয়ী ঘোষণা করতে একাধিক দিন সময় লেগে যেতে পারে।
জানা গেছে, বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র রাজ্য ও কাউন্টির ওপর নির্ভর করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ নিয়ম হলো যে, আপনি যত পশ্চিমে যাবেন, সময় অঞ্চলের পার্থক্যের কারণে দেরিতে ভোট বন্ধ হবে।
সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে যায়, কিন্তু আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে থাকেন। ভোট শেষ হওয়ার পর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে গণনা শুরু হবে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন।
তবে অনেক সময় ফলাফল জানতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়। যেমন, ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরে জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী সাত রাজ্য, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ফলাফলের জন্য পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভোট গণনায় অতিরিক্ত সময়ের দরকার হয়েছিল সেবার।