চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। শনিবার (৮ মার্চ) জান্তাপ্রধান মিন আং হ্লাইংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে জান্তা।
সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, আমরা শিগগিরই একটি মুক্ত ও ন্যায্য নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। ৫৩টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাদের প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে।
ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান প্রতিবেদন অনুযায়ী, জান্তা দেশের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে মাত্র ১৪৫টিতে সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পেরেছে। এই নির্বাচন আরও সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, কারণ জান্তা এবং তার বিরোধীরা মিয়ানমারের অঞ্চলগুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই বিস্তৃত সংঘাত অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তূপে ফেলেছে এবং ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা ২০২১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার অং সান সু চিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে সেনাবাহিনী গঠিত সরকার গত তিন বছর ধরে দেশটি শাসন করে আসছে।
ক্ষমতা গ্রহণের এক মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা ছিল জান্তার। তবে নানা অজুহাতে সেই কথার বাস্তবায়ন করেনি জান্তা। ফলে বর্তমানে জান্তার প্রধান জেনারেল হ্লেইং যে নির্বাচনের পূর্বাভাস দিয়েছেন তা আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এর আগে নির্বাচনের শর্ত হিসেবে জান্তা শান্তি ও স্থিতিশীলতার শর্তারোপ করে। অন্যদিকে মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ রয়েছে। ফলে এমন স্থিতিশীল পরিবেশ আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি পার করছে।