বাংলাদেশের আগে ২০২২ সালে দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কায় প্রবল গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতার রোষে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার জনতা। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার মতোই ছাত্র-জনতার প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। গত প্রায় দেড় মাস ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন। তাকে ফেরানো নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এবার শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান বা আশ্রয় নেওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বললেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত। প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে। শেখ হাসিনা ইস্যুটি রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহেকে শেখ হাসিনা ইস্যু ও বাংলাদেশ-ভারতের করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, “হাসিনা যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে তাকে বাইরেই থাকতে দিন। আমি মনে করি, স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিকতার ওপর নজর দেবে ও দেশ কীভাবে চালাবে, সেই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করবে।”
এদিকে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, হাসিনাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি কতদূর এগিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এছাড়া দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে তাদের।