দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে একটি বিমান ছিটকে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পাশের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয় ১৮১ জন আরোহীসহ জেজু এয়ারের যাত্রীবাহী বিমানটি। এতে দুইজন বেঁচে গেলেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৯ জনে।
কেন ও কীভাবে বিমানটি এমন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে কিছু কারণ বেরিয়ে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন প্রাথমিকভাবে দুটি কারণের কথা বলছেন। তার মতে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে বিমানটি।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের বিমানটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।
কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির সেই ভিডিও ফুটেজে আরও দেখা যায়, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর বিমানটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ জানাচ্ছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানের লেজের অংশে আগুন ধরে গেছে। তাতে তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, বিমানটি সে সময় তখন রানওয়ের একপাশে ছিল।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। চলমান উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন।
যে কারণে এত যাত্রী নিয়ে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, সেই কারণ উদঘাটনেও তৎপরতা চলছে। জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন যাত্রী ও একজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।