হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে আক্রমণ করার পর জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) সরকারের সামরিক এবং গোয়েন্দা উভয় দিক থেকেই পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য মেসেঞ্জার ডটকম।
হামলার পর প্রথম টেলিভিশন ভাষণে খামেনি বলেন, “যারা ইহুদিবাদী শাসকের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, আমরা তাদের হাতে চুমু খাই।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, “ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার সঙ্গে তেহরানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।” তবে তিনি যাকে ইসরাইলের ‘অপূরণীয়’ সামরিক ও গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন, তার (হামলা) প্রশংসা করেছেন।
লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের হামাসকে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। তবে সর্বশেষ হামাসের হামলার সঙ্গে ইরানের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে খোদ আমেরিকা।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও জিপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন আরও কয়েক শ’ হামাস যোদ্ধা। এরপর শুরু হয় যুদ্ধ। যা এখনো চলমান।